Saturday, November 29, 2014

জীবনবৃত্তান্ত যে কারণে উপেক্ষিত হয়

নতুন চাকরি পাওয়ার ক্ষেত্রে নিজেকে তুলে ধরার জন্য আবেদনকারীর সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হচ্ছে একটি আকর্ষণীয় জীবনবৃত্তান্ত। জীবনবৃত্তান্ত তৈরি করার সময় কিছু কিছু সাধারণ ভুলের কারণে আপনার জীবনবৃত্তান্তটি প্রাথমিক পর্যায়ে উপেক্ষিত হতে পারে। কী কী কারণে জীবনবৃত্তান্ত উপেক্ষিত হয়? সেসব বিষয়ে ধারণা দিয়েছেন ইস্টার্ন ব্যাংকের প্রধান মানবসম্পদ কর্মকর্তা মঞ্জুরুল আলম ও টেসকো ইন্টারন্যাশনাল সোর্সিং বাংলাদেশের আঞ্চলিক মানবসম্পদ ব্যবস্থাপক আশীষ কুমার রায়।
যে ভুলগুলো চাকরি নিয়োগদাতা সাধারণত লক্ষ করে থাকেন তা জেনে নিন:
 চাকরির বিবরণীর সঙ্গে মিল না রেখে জীবনবৃত্তান্ত উপস্থাপন।
 জীবনবৃত্তান্তের সঙ্গে আবেদনপত্র (কাভার লেটার) জমা না দেওয়া।
 ভুল ই-মেইল ও অব্যবহৃত মুঠোফোন নম্বর ও সঠিক যোগাযোগের ঠিকানা উল্লেখ না করা।
 জীবনবৃত্তান্তে অশুদ্ধ বানান, ভুল ব্যাকরণ, একই শব্দ ও বাক্যের পুনরাবৃত্তি।
 ক্যারিয়ারের উদ্দেশ্য ও সারসংক্ষেপের সঠিক ও সামঞ্জস্যপূর্ণ বর্ণনা না থাকা।
 পূর্ববর্তী চাকরির নির্ধারিত দায়িত্ব, কর্তব্য ও নির্দিষ্ট দক্ষতা বাড়িয়ে উল্লেখ করা।
 অনুমতি না নিয়ে অন্যের রেফারেন্স ব্যবহার করা।
 চাকরির বিবরণ অনুযায়ী সঠিক দক্ষতা ও আগ্রহের বর্ণনা না করে অপ্রয়োজনীয় তথ্য দেওয়া।
 শব্দ ও বাক্যের পূর্ণরূপ ব্যবহার না করে তা সংক্ষিপ্তভাবে ব্যবহার করা।
 জীবনবৃত্তান্ত ২-৩ পাতার মধ্যে সীমাবদ্ধ রাখা।
 চাকরির আবেদনের সময় আবেদনকারী খামের ওপর কোন পদের জন্য আবেদন করছেন, তা উল্লেখ করেন না।
হাজারো চাকরির প্রার্থীর ভিড়ে নিজের জীবনবৃত্তান্তকে আলাদা ও আকর্ষণীয় করার ক্ষেত্রে একজন চাকরিপ্রার্থীর অবশ্যই ওপরের বিষয়গুলোর লক্ষ রাখা উচিত।

No comments:

Post a Comment